নাগরিকদের বড় অংশ টিকা পেলে তারপর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের নাগরিকদের বড় অংশ করোনাভাইরাসের টিকা পেয়ে গেলে তখন তাদের ‘বুস্টার ডোজ’ দেওয়ার কথা সরকার ‘ভাববে’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2021, 10:49 AM
Updated : 11 Dec 2021, 11:15 AM

সৌদি আরব প্রবাসীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বুস্টার ডোজের যদি কখনো প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।… শুধু প্রবাসী নয়, বাংলাদেশেও যখন এই পর্যায়ে আসবে, যখন আমরা সকলকে ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলতে পারব, মোটামুটি একটা পর্যায়ে গেলে পরে… তখন।”

এক্ষেত্রে টিকাদান সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি ও মহামারী মোকাবেলায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “টেকনিক্যাল কমিটি আছে, ন্যাশনাল কমিটি আছে তাদের রেকমেন্ডেশনে বাংলাদেশিদের যারা এখানে থাকেন, যারা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, তাদেরকে আমরা আগে দেওয়ার চেষ্টা করব।

”এভাবে অন্যান্য দেশে কিন্তু শুরু হয়ে গেছে, আমেরিকাতে বা ইউরোপে। আমরাও সেটা চিন্তাভাবনা করব।”

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ ডোজ করোনাভাইরাস টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে সাথে নিয়ে তিনি ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলানের কাছ থেকে টিকা বুঝে নেন।

সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ২১ কোটি টিকা ক্রয় করেছি, এর মধ্যে ১১ কোটি আমরা গ্রহণ করেছি। সাড়ে ৮ কোটি বেশি আমরা প্রয়োগ করেছি।

”এখন আমরা প্রতিদিন প্রায় ১৫ লাখ ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি। আমাদের সক্ষমতাও বেড়েছে, আমরা ৮০ লাখও একদিনে দিয়েছি।”

করোনাভাইরাসে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর টিকাদান ‘প্রায়’ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি। যার মধ্যে বেশিরভাগ তারাই, ভালনারেবল পপুলেশন। যার ফলে মৃত্যুর হার, শনাক্তের হার অনেক নেমে এসেছে।”

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় ধনী কিছু দেশ বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে নাগরিকদের, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।

বাংলাদেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে এখনও বুস্টার ডোজ শুরু করার সময় আসেনি। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে নন তারা।