কোভিড: দৈনিক শনাক্তের হার ২০ মাসে সর্বনিম্ন

দেশে এক দিনে আরও ২১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২০ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। শনাক্তের এই হার ২০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

এর আগে গত বছরের ৩১ শে মার্চ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এরপর শনাক্তের হার বাড়তেই থাকে। এক পর্যায়ে এ বছরের জুলাইয়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩২ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। গত ২০ অক্টোবর থেকে দৈনিক শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে আছে।

 

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৪৮ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২২৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৭ জন।

গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৬২ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি। যে দুজন মারা গেছেন, তারাও ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বাকি সাত বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। আর দেশের ৩৬টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৩৯ লাখের বেশি রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২০ হাজার ৭৬৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৪টি নমুনা।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২ জনই নারী। তাদের ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের ২ জনই সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য নিয়ে পুরনো সব খবর