স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯২২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২১২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৮৭ জনই ঢাকা বিভাগের যা মোট আক্রান্তের তিন চতুর্থাংশের বেশি। দেশের ৪৪টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। বাকি ছয় বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৯ হাজার ৫১৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯০টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত অনুযায়ী মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩ জনই নারী ও ১ জন পুরুষ।
তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাদের ২ জন সরকারি হাসপাতালে ও ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।