কোভিড টিকা দিতে স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকার অপেক্ষায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা পেলেই তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা অপেক্ষায় আছি তালিকাটা পাওয়ার। সেই তালিকা হাতে পেলেই আমাদের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

“আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের টিকা আছে, লোকও আছে, ব্যবস্থাও আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা সেই কাজটি শুরু করতে পারব বলে আশা করি।”

টিকা দিতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেবে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগকে, তখন সুরক্ষা অ্যাপে তাদের অন্তর্ভুক্ত করবে।

গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

সেদিন জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, পর্যবেক্ষণ শেষে সারাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

ঢাকার মহাখালীতে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে, যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এই সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে জাহিদ মালেক বলেন, সরকারকে ‘অস্থিতিশীল’ করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ভাঙা, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে।

“মন্দির ভাঙা বড় উদ্দেশ্য না, বড় উদ্দেশ্য উন্নয়ন, শান্তি বিনষ্ট করা। শান্তি বিনষ্ট হলেই তো উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে।”

তবে তা দমনে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, “যেমন যুদ্ধ আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে করে যাচ্ছি, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, যারা দেশের শান্তি চায় না, তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের যুদ্ধ চলবে।”