দুদিন পর আবার পাঁচশর বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত

দেশে এক দিনে আরও ৫৯৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 11:09 AM
Updated : 11 Oct 2021, 11:26 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৮ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৬৯৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। 

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৮১ নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল। তার আগে দিন ৪১৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

শনিবারই ৫ মাস পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশর নিচে নেমে এসেছিল। দুদিন পর আবার তার পাঁচশ ছাড়াল। 

রোববার মোট ১৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সোমবার তা কিছুটা কমেছে। যে ১১ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৯ জনই নারী।

দেশে এ পর্যন্ত যারা কোভিডে মারা গেছেন, তাদের ৬৪ শতাংশ পুরুষ হলেও করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রদুর্ভাবের পর নারীদের মৃত্যুহার বেড়েছে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ছিল।

সরকারি হিসাবে এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৬৩৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৩ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯টি নমুনা।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৪৫৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের চার ভাগের তিন ভাগ।

যে ১১ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা এবং ২ জন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।

যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের মধ্যে ৯ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের কোভিড পরিস্থিতির সাপ্তাহিক যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে গত এক সপ্তাহে (৪ থেকে ১০ অক্টোবর) দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে; মৃত্যু কমেছে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। 

গত সপ্তাহে মোট ৪ হাজার ৩৯৫ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। তার আগের সপ্তাহে ৬ হাজার ৬১৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মারা গিয়েছিলেন ১৫৯ জন।  

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ৭৭ লাখের বেশি রোগী।