স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জনে। আর তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৯৩১ জনের।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩২৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। সে হিসেবে গত এক দিনে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে।
গত এক দিনে সারা দেশে ২৫ হাজারের সামান্য বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা আগের দিন ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ ছিল।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ২৫৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের দুই তৃতীয়াংশ।
যে ৫১ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১৯ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে ২৯ জনই ছিলেন নারী, আর পুরুষ মারা গেছেন ২২ জন। আগে দেশে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় নিয়মিতভাবে পুরুষের সংখ্যা বেশি থাকলে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ শুরুর পর অগাস্ট থেকে নারীদের মৃত্যুহার বেড়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৫৮৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করে এসে ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৪২ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৫ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৩টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৯ ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৯ জন খুলনা বিভাগের, ৬ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃত ৫১ জনের ২২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের মধ্যে ৪৩ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।