করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে শিশুদের ঝুঁকি কতটা বেড়েছে?

শিশুরা করোনাভাইরাসে প্রবলভাবে আক্রান্ত হচ্ছে না- এমন ধারণা দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের কারণে শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2021, 02:55 AM
Updated : 8 August 2021, 02:55 AM

সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া শিশুদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আক্রান্ত শিশুদের নানা ধরনের জটিলতা ভোগার চিত্র তুলে এনেছে।

গত বছর মহামারী শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)।

মঙ্গলবার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন ১৯২টি শিশু কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এর আগের সপ্তাহে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির দৈনিক গড়ের তুলনায় এই সংখ্যা ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি বলে জানায় সিডিসি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্করা যখন স্কুলে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা কিংবা বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক করছেন, তখন যারা টিকা পায়নি তারা ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে টিকা দেওয়ার বয়স হয়নি এমন শিশুও রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেল্টা ধরন থেকে শিশুদের রক্ষা করা বেশ কঠিন হয়ে উঠছে। এটা কেবল ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয় নয় বরং করোনাভাইরাসের আরও আগ্রাসী ধরনের যাতে আবির্ভাব না ঘটে তা ঠেকানোর জন্যও এটা প্রয়োজন।

ছবি: রয়টার্স

হাসপাতালে বাড়ছে শিশু

মহামারীতে গত বছর আধিপত্য বিস্তার করা করোনাভাইরাসের আলফা ধরনের জায়গা দখল করেছে আরও বেশি সংক্রামক ডেল্টা ধরন। পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই দাপট এখন করোনাভাইরাসের এই ধরনটির।

সিডিসি জানিয়েছে, ভাইরাসের ডেল্টা ধরনটি জলবসন্তের মতো ছোঁয়াচে। সংস্থাটি জানায়, জিন বিন্যাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র দুই মাসেই এই ধরনটির বিস্তার ৩ শতাংশ থেকে এক লাফে ৯৩ শতাংশ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহের মধ্যেই শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার হার ৮৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’ (এএপি)।

গত ২২ থেকে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ৭১ হাজার ৭২৬টি শিশুর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ‘যথেষ্ট বেশি’ বলে জানিয়েছে এএপি। এর আগের সপ্তাহে ৩৯ হাজার শিশুর কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে সিডিসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে আগে থেকে শারীরিক অসুস্থতা আছে এমন শিশুর বাইরেও অনেক শিশু ছিল।

২০২০ সালের মার্চ থেকে এবছর জুন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় অর্ধেক শিশুর (৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ) পূর্বে থেকে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছে সিডিসি।

ছবি: রয়টার্স

শিশু মৃত্যু ‘অবহেলা করা যাবে না’

পূর্ণ বয়স্কদের তুলনায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যুর হার কম হলেও সে সংখ্যা কম নয় বলেই মনে করছেন সিডিসি’র পরিচালক ড. রোচেল ওয়ালেনস্কি।

‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিকস’ এর তথ্য অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত বয়স সীমার মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গত জুলাই মাসে ওয়ালেনস্কি বলেন, “আমার মনে হয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যুর মধ্যে মাত্র ৪০০ শিশু বলার মধ্য দিয়ে আমরা একটি ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।”

সিডিসি পরিচালক ড. রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, “শিশুদের মৃত্যু হওয়া উচিৎ নয়। তাই ৪০০ একটি বড় সংখ্যা।”

২০১০ সালের পর সর্দিজ্বর বা ফ্লুর সবচেয়ে সংকটাপন্ন সময় ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে সাধারণ সর্দিজ্বরে শিশু মৃত্যুর হারের চেয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার দ্বিগুণেরও বেশি বলে জানিয়ছে সিডিসি।

বেশিরভাগ শিশুকেই বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়ায় অন্যান্য সংক্রামক রোগের চেয়ে কোভিড-১৯ এখন বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিন’ এর শিশুরোগ বিষয়ের অধ্যাপক জেমস ক্যাম্পবেল।

গত মাসে তিনি সিএনএনকে বলেন, “কেউ পোলিওতে মারা যাচ্ছে না, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ হামেও মারা যাচ্ছে না। ডিপথেরিয়াতেও কারও মৃত্যু হচ্ছে না।”

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা যখন কোভিড-১৯ টিকা পাবে, তখন এক্ষেত্রেও সেটা হবে না। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার অনুমোদন মিলতে হয়তে আরও কয়েক মাস লাগতে পারে।

শিশুদের জন্য কোন টিকা নিরাপদ হবে, তা যাচাই করার জন্য হাজারো মায়ের মতো রেবেকা ক্যালোওয়ে তার ৭ বছরের মেয়ে জর্জিয়াকে কোভিড-১৯ টিকার বিভিন্ন ডোজের পরীক্ষা করার জন্য দিয়েছেন।

জর্জিয়ার নাম কেন টিকার ডোজ পরীক্ষায় দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে রেবেকা ক্যালোওয়ে জানান, সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার ৩ বছরের আরেকটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে টাইপ-১ ডায়াবেটিস থাকায়। তিনি চান না আর কোনো পরিবারে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশু মারা যাক।

ছবি: রয়টার্স

স্কুলগামী শিশুদের ‘রক্ষা করা কঠিন’

উচ্চ মাত্রার সংক্রামক করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের কারণে কিন্ডারগার্টেন থেকে গ্রেড ১২ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং দর্শনার্থীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে সিডিসি।

স্কুলে দুই বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেককে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে ‘আমেরিকারন অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’।

সিডিসির পরিচালক ওয়ালেনস্কি বলেন, “আমাদের শিশুরা পুরোটা সময় ব্যক্তিগত তদারকির মধ্যে সুরক্ষিত পরিবেশে নিরাপদ শিক্ষার দাবিদার। এবং যে কারণে স্কুলের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে।” 

তিনি জানান, অনেক শিক্ষার্থী এক বছরের মধ্যে প্রথম স্কুলে ফিরতে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শ্রেণিকক্ষের শিক্ষণ খুব দ্রুতই সংক্রমণের প্রকোপে বিঘ্নিত হতে পারে।

আটলান্টায় ‘ড্রিউ চার্টার’ স্কুলে ৯ জন শিক্ষার্থী এবং স্কুলের ৫ জন কর্মীর কোভিড পজিটিভ আসায় একশরও বেশি শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে।

কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠেনি যে স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে। এমনকি একটি ঘটনায় শিক্ষার্থী এবং স্কুল কর্মীদের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে তেমনটাও নয়।

ফ্লোরিডায় আলাচুয়া কাউন্টি পাবলিক স্কুল এর সুপারিনটেনডেন্ট কারর্লি সাইমন বলেন, “স্কুল চালানোর জন্য আমার পূর্ণ বয়স্কদের দরকার, এবং তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায় কিংবা তাদের কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়, তাহলে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমার পূর্ণ বয়স্ক কেউ থাকবে না।”

তিনি জানান, স্কুল বোর্ড প্রথম দুই সপ্তাহের জন্য মাস্ক পরার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ফ্লোরিডার গভর্নর স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা নিষিদ্ধ করেন এবং যেসব স্কুলে মাস্ক পড়তে হবে তাদের তহবিল বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন।

এ বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফ্লোরিডায় আলাচুয়া কাউন্টি পাবলিক স্কুল এর সুপারিনটেনডেন্ট।    

সাইমন বলেন, “যখন এমন পরিবার পাওয়া যায় যারা সন্তানদের মাস্ক পরতে দিতে চায় না, তারা কেবল নিজেদের কোয়ারেন্টিনের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছেন না, তারা যে সব শিক্ষার্থী মাস্ক পড়ছে তাদেরও কোয়ারেন্টিনের ঝুঁকিতে ফেলছে।”

স্কুলে মাস্ক পড়া ছাড়াও আলো বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে সিডিসি। 

ছবি: রয়টার্স

শরীরে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে ‘দীর্ঘস্থায়ী কোভিড’

পূর্ণ বয়স্কদের মতো শিশুদের মধ্যেও ‘দীর্ঘস্থায়ী কোভিড’ বা আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস পর নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ’ এর পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, “যেসব তরুণ নিজেদের জটিল ধরনের কোভিড হওয়ার ঝুঁকি কম মনে করছেন, তাদেরও দীর্ঘ মেয়াদী জটিলতায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।”

কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে সব শিশুর মাঝারি কিংবা কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ যাদের দেখা যায়নি, তাদের কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস পর ‘মাল্টি সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম’ (এমআইএস-সি) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। 

সিডিসি জানায়, এটা বেশ কম হলেও কোভিড-১৯ এর সঙ্গে জড়িত এই সমস্যার কারণে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক, চামড়া, চোখ অথবা পরিপাকতন্ত্রসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্রদাহ দেখা দেয়।

ফিলাডেলফিয়ায় ‘চিলড্রেন’স হসপিটাল’ এর ‘ভ্যাকসিন এডুকেশন সেন্টার’ এর পরিচালক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. পল অফিট বলেন, “ভাইরাস আপনার দেহকে রক্তনালীর ভেতরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য উদ্দীপ্ত করে, যে কারণে রক্তনালীর ভেতরে প্রদাহ হতে পারে।”

বেশিরভাগ সময়ই যেসব শিশুর ‘মাল্টি সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম’ (এমআইএস-সি) তৈরি হয় তারা কোভিড-১৯ এ খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে না।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. পল অফিট বলেন, “সাধারণত ঘটনাক্রমে শিশুদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে, বন্ধুদের কেউ আক্রান্ত হলে তখন তাদের পিসিআর টেস্ট করা হয় এবং তাদের পজিটিভ পাওয়া যায়… এবং তারা ভালও থাকে।

“এভাবে হয়তে একমাস চলে যায় এবং এরপর তাদের প্রচণ্ড জ্বর আসে। তখন দেখা যায় ফুসফুস, লিভার, কিডনি অথবা হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা ধরা পড়ে যখন তারা হাসপাতালে আসে।”

সিডিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এবছর জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ১৯৬টি শিশুর এমনটা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

সংস্থাটি জানায়, এমআইএস-সি উপসর্গ থাকা ৯৯ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কোভিড- ১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং ১ শতাংশকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে যেতে দেখা গেছে।

এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৯ বছরের মধ্যে উল্লেখ করে সিডিসি বলছে, “কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর কিংবা সংক্রমিত কারও সংস্পর্শে আসা কিছু শিশু ও কিশোরের কেন এমআইএস-সি হচ্ছে তা বের করার চেষ্টা চলছে।”

সিডিসির পরিচালক ওয়ালেনস্কি জানান, সবচেয়ে ভাল হয় অভিভাবকরা যদি তাদের ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সন্তানদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে সুরক্ষিত করতে পারেন।

এমনকি যদি কোনো বাবা-মা টিকার ডোজ নিয়েও থাকেন তারপরও তারা কোনো উপসর্গ ছাড়া কোভিড আক্রান্ত হতে পারেন এবং তাদের মাধ্যমে শিশুরা সংক্রমিত হতে পারে।

যে কারণে অভিভাবকদের জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হচ্ছে, জনসমাগমে শিশুদের মাস্ক পরতে দেওয়া।

ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শিশুদের মাধ্যমে?

শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকানো গেলে দীর্ঘ মেয়াদে সবারই উপকারে আসবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার এই সময়ে নতুন কারও দেহে সংক্রমণের সময় ভাইরাসটির নতুন রূপ তৈরি হচ্ছে, যে কারণে মিউটেট বা নতুন ধরনে রূপান্তরের সম্ভাবনাও বাড়ছে।

কিছু কিছু রূপান্তর ভাইরাসকে আরও বেশি আগ্রাসী করে তুলতে পারে এবং টিকার প্রতিষেধক ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার মতো একটি ধরন তৈরি হতে পারে।

“এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ” উল্লেখ করে সিডিসির পরিচালক ওয়ালেনস্কি জানান, টিকার পূর্ণ ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।

কিন্তু শিশুসহ যারা টিকা নেননি তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি এবং তারা না জেনেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরন তৈরিতে সহায়তা করছে বলেও মনে করেন তিনি।

সিডিসি পরিচালক বলেন, “জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে আমরা টিকা দিতে না পারলে আমরা এই মহামারী থামাতে পারব না।”