বুধবার প্রকাশিত ওই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যয়ের সময় ওইসব রাজ্যে সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক বাসিন্দা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়।
কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি শনাক্ত করার জন্য জুন ও জুলাই মাসে জনগোষ্ঠীর একটি নমুনার ওপর এই জরিপ চালানো হয় এবং দেখা যায় ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সম্ভবত এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে।
ভারতের সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী দেশের ২৯ হাজার নাগরিকের ওপর পরিচালিত সেরো-প্রিভেলেন্স সার্ভে থেকে দেখা গেছে, সেখাকার সবচেয়ে বড় ও জনসংখ্যা বহুল আটটি রাজ্যে ৭০ শতাংশ বাসিন্দার কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
জরিপের ফলাফল বলছে, মধ্য প্রদেশের ৭ কোটি ৩ লাখ জনসংখ্যার ৭৯ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি মিলেছে।
বিহার রাজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের ৭১ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছে বলে জরিপে দেখা গেছে।
মহামারীর বিপর্যয়কর দ্বিতীয় ঢেউ পার হওয়ার পর ভারতে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। বুধবার ৪৩ হাজার ৬৫৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে, মারা গেছে ৬৪০ জন। অথচ ৭ মে দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জন।
ভারতে টিকাদানের হারও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত সেখানে ৪৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক কমপক্ষে এক ডোজ কোভিড-১৯ টিকা পেয়েছে। তবে টিকা পাওয়ার যোগ্য জনগোষ্ঠীর মাত্র ১০ শতাংশ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।