কোভিড: টিকা না নেওয়া সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ

করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় টিকা না নেওয়া নাগরিক, বিশেষ করে বয়স্কদের আগামী কয়েক সপ্তাহ যতটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

>>রয়টার্স
Published : 19 July 2021, 04:29 AM
Updated : 19 July 2021, 04:29 AM

রোববার দেশটিতে নতুন করে ৮৮ জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, দৈনিক আক্রান্তের হিসাবে যা গত বছর অগাস্টের পর সর্বোচ্চ। বিভিন্ন বার এবং মৎস্য বন্দরগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সিঙ্গাপুরে রোগী শনাক্তও বেড়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সিঙ্গাপুরে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার অনেক কম হলেও নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াটা এশিয়ার এই বাণিজ্যকেন্দ্রের জন্য একটি ধাক্কা হয়ে এসেছে।

সংক্রমণের প্রথম দফা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছিল দেশটি। এ মাসের ১০ তারিখেও সিঙ্গাপুরে নতুন কোনো রোগী ছিল না।

বিক্রেতাদের কোভিডে আক্রান্ত হতে থাকার প্রেক্ষাপটে আগাম সতর্কতা হিসেবে রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বিক্রির দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। 

কমিউনিটি সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের বাজারগুলোর উদাসীনতায় কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন সহজে করা যাচ্ছে না।

এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের ৫৭ লাখ জনগোষ্ঠির ৭৩ শতাংশ কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তবে দেশটির বয়স্ক নাগরিকদের ৭১ শতাংশ টিকা নিয়েছেন। দেশটির সরকার আরো বেশি বয়স্ক নাগরিককে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সোমবার থেকে জনসমাগমের বিষয়ে বিধিনিষেধ আবারো কঠিন করতে যাচ্ছে দেশটি। অথচ সপ্তাহখানেক আগেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। তবে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য বিধিনিষেধ মানায় কিছুটা শিথিলতা রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত ২৪৩ জনের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন আর একজন রয়েছেন আইসিইউতে।