করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয়
সংক্রমণের পর আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে যে কটি জেলায় তার একটি এই যশোর।
কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রদীপ্ত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “যখন রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন, তখন দেখা যাচ্ছে তাদের অক্সিজেনের মাত্রা ৩০/৪০,
অনেক কম। তাদেরকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে সাধারণত যশোর
জেলা হাসপাতাল কিংবা খুলনায় পাঠানো হয়। কিন্তু এখন যেসব রোগী আসছে, তারা বয়স্ক ও কোমরবিডিটি
থাকায় ‘খুব কম সময় দিচ্ছেন’ বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন।
ডা. প্রদীপ্ত বলেন, “একজন রোগী সন্দেহভাজন
ছিলেন। তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার আগেই তিনি মারা গেলেন।
আমরা পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় পেয়েছিলাম তার চিকিৎসায়।”
এক বছর আগে দেশে কোভিড মহামারী শুরুর
পর আক্রান্ত ও মৃত্যু মূলত ঢাকা ও শহরকেন্দ্রিক দেখা গেলেও ভারতে উদ্ভূত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
দেশে সংক্রমিত হওয়ার পর চিত্র গেছে পাল্টে।
গত এপ্রিলের শুরুর দিকে সীমান্ত জেলাগুলোতে
এবং এখন গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা
বৃদ্ধির সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
গ্রামে গ্রামে জ্বর, মৃত্যু বাড়ছেই
কোভিড: সীমান্ত জেলাগুলোর অবস্থা কতটা খারাপ?
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ১০ হাজারের
বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দৈনিক মৃত্যুও ছাড়িয়েছে দুইশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে, গত এক সপ্তাহে
৭৭ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৫৪ জনের।
এর মধ্যে এই প্রথম দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা
১৩ হাজার ছাড়ায় সোমবার। এদিন ২২০ জনের মৃত্যু হয়। রোববার ২৩০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়।
ডেল্টা সংক্রমণের পর এক মাসে সর্বাধিক
২ হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু ঘটে গত এপ্রিলে। জুনে মারা যায় ১ হাজার ৮৮৪ জন কোভিড রোগী।
মৃত্যুর বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা গত এক
বছরের বেশি সময় বরাবরই এগিয়ে ছিল। কেননা, সারাদেশ থেকে গুরুতর রোগীদের ঢাকায় আনা হত।
কিন্তু মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে খুলনা
ও রাজশাহীতে মৃত্যু হু হু করে বাড়ছে, যা মাঝে মাঝে ঢাকাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। যেমন শনিবার
ঢাকা বিভাগে মৃত্যু যেখানে ছিল ৫৬, সেখানে খুলনা বিভাগে ছিল ৬৬।
এই অবস্থায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি
আরও করুণ হয়ে ওঠার শঙ্কা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোভিড: সামনে করুণ পরিস্থিতির শঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
কোভিড রোগে মাকে হারিয়ে কান্না থামছে না শান্তার। নোয়াখালী থেকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার মা মায়েরা বেগমকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
মহামারীর এক বছরের বেশি সময় পর এখন মৃত্যু
কেন এত বাড়ছে, এই প্রশ্নে চিকিৎসকরা সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, সংক্রমণ এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে
ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হলেও মানুষ তা আমলে নিচ্ছে না। শেষ সময়ে আসছে চিকিৎসা নিতে, তখন কিছুই করার থাকছে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আবার চিকিৎসা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকেও কাঠগড়ায়
তুলছেন। তারা বলছেন, মহামারীর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলা হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ
দেওয়া যায়নি, সেবাও নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে রোগীদের ঘুরে ঘুরে মরতে হচ্ছে।
আবার দেশে এখন কোভিড রোগীরা যে ধরনটি
বেশি আক্রান্ত, সেই ডেল্টা বিশ্বজুড়েই উদ্বেগের বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা।
ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ধরনটি মহামারীর
প্রথম দিকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আলফা ধরনের চেয়ে প্রায়
৬০ শতাংশ বেশি এবং মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে দ্বিগুণ সংক্রামক বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
যেভাবে বাড়ছে মৃত্যু
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে মৃত্যু বেড়ে
যাওয়ার জন্য দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসাকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত
করেছেন ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরী।
তিনি বলেন, “জ্বর হওয়ার পর তারা আশেপাশের
গ্রামের ডাক্তারদের চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা
না করে এমনিতে ভালো হয়ে যাবে বলে বসে থাকছে। এভাবে অবস্থা বেশি খারাপ যখন হয়ে যাচ্ছে,
তখন হাসপাতালে আসছে।
“দেখা যাচ্ছে- যারা হাসপাতালে এসে মারা
যাচ্ছে, তারা হয়ত একদিন বা একদিনের কম চিকিৎসা নিয়েই মারা যাচ্ছেন। এত বেশি খারাপ অবস্থায় রোগীরা আসছে যে,
আমরা একদিনও সময় পাচ্ছি না সেবা দেওয়ার জন্য।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নারীর মতো অনেক কোভিড রোগীরই লাগছে অক্সিজেন। ছবি: সুমন বাবু
গুরুতর রোগীদের অনেকের অক্সিজেন লাগে,
তা অপ্রতুলতা রয়েছে প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলে।
তবে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন
সিলিন্ডারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের কাজও চলছে বলে জানান
ডা. প্রদীপ্ত।
তবে তিনি বলেন, “আবার কিছু জিনিস আমাদের
নেই। যাদের প্রচুর অক্সিজেনের চাহিদা, সেটা এখানে আমরা মেটাতে পারছি না। তাদেরকে অন্য
জায়গায় রেফার করতে হচ্ছে।”
ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের
মেডিকেল অফিসার তানভীর ইসলামও মনে করেন, সচেতনতার অভাবই পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।
তিনি বলেন, “এমন রোগী প্রতিনিয়তই পাই
যে, তাদের ভাষ্যমতে তারা সাধারণ সর্দিজ্বরে আক্রান্ত, কিন্তু টেস্ট করার পর পজিটিভ
হচ্ছেন। কোভিড পজিটিভ হয়ে যাবার ভয়ে অনেকেই টেস্টই করাতে চায় না। সাধারণ সর্দিজ্বর
ধরে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে, জনসমাগমে যায়।”
এই চিকিৎসক বলেন, “যারা সচেতন তারা বুঝতে পারলেই
চিকিৎসা নিতে আসছেন। যারা সাধারণ সর্দি-কাশি
ভেবে একে এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাদের অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে শেষ সময়ে আসছেন। তখন তেমন
কিছু করার থাকে না আমাদের। এ ধরণের রোগীর সংখ্যাই অনেক।”
মুগদা
জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথও মনে করেন, মানুষ সচেতন হলে করোনাভাইরাসে
এতো মৃত্যু দেখতো না দেশ।
মহামারীতে মাকে হারিয়ে ছেলের কান্না। ফাইল ছবি
তিনি
বলেন, মৃদু উপসর্গের রোগীদের বাসায়, মাঝামাঝি পর্যায়ের রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া এবং জটিল পর্যায়ে গেলে আইসিইউর
মতো ব্যবস্থা লাগে।
“তাহলে
আমি সিভিয়ার হতে দেব কেন? যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা- জটিল রোগ আছে, তাদের দুই-একজনের
এমন হতে পারে। কিন্তু এমন অনেক রোগী আছে, আগে থেকে চিকিৎসা সেবা নিলে তারা হয়ত মারা যেত না।”
পরিস্থিতি
নাজুক হয়ে ওঠার জন্য ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করে ডা. অসীম কুমার মানুষের স্বাস্থ্যবিধি
না মানার প্রবণতাকেই বড় করে দেখছেন।
“এখনও
যদি সবাই মাস্ক পরে, একটা মাস যদি আমরা ঠিক করি মাস্ক ছাড়া কোথাও যাব না; তাহলে সংক্রমণ
ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। লকডাউন কেন, কিছুই লাগবে না।”
কেশবপুরের
চিকিৎসক প্রদীপ্ত চৌধুরীও বলেন, “মাস্ক পরা
নিয়ে অনীহা আছে এখনও। এটা পরতে হবে। সন্দেহ হলেই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।”
অধিকাংশ
মানুষকে টিকা দিতে পারলে সংক্রমণ-মৃত্যুর গতি ঠেকানো যাবে বলে মনে করেন ডা. অসীম কুমার।
কোভিড: একদিনে রেকর্ড ২৩০ মৃত্যু, সর্বোচ্চ শনাক্ত
কোভিড: সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে দেশে শনাক্ত রোগী ১০ লাখ ছাড়াল
কোভিড: দেশে এপ্রিলের পর ভয়াল ছিল জুন
মহামারীর ১৬ মাসে ভয়ঙ্কর ৮ দিন
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারীর
প্রাদুর্ভাবের পর গত এক বছরে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, তা করতে পারেনি
সরকার। অব্যবস্থাপনার জেরে অনেকেই মৃত্যুর সংখ্যায় যোগ হচ্ছেন।
ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মনে করেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে
যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না কোভিড রোগীরা।
“চিকিৎসা সেবা না
পাওয়ার কারণে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সেবা খুঁজে না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। মানে চিকিৎসা সেবায় চরম অব্যবস্থাপনা হচ্ছে।”
সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে ‘ঘুরে ঘুরে মানুষ মারা যেত না’
বলে মন্তব্য করেন কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এই সদস্য।
“একটা মানুষ জানে না, কোথায় গেলে আইসিইউ পাওয়া যাবে। এগুলো
তো ম্যানেজ হতে পারে। একটা হটলাইন নম্বর থাকতে পারে, যেখানে ফোন করে জানা যাবে কোথায়
আইসিইউ ফাঁকা আছে, সিট ফাঁকা আছে কী নেই। এতে তো রোগী নিয়ে ঘোরাঘুরিটা বন্ধ হবে।”
যশোরে হাসপাতালে শয্যার অভাবে বাইরে রোগী।
ডা. নজরুল
বলেন, “এক বছর হয়ে গেল, কিন্তু এখনও জেলায় জেলায় হাসপাতাল হল না। আইসিইউ হল না। জেলা
থেকে ঢাকায় আসতে আসতে রাস্তাতেই রোগী মারা যাচ্ছে।
“কয়জনেরই
আসার ক্ষমতা আছে? কয়জনের গাড়ি ভাড়া করার টাকা আছে? এখনও জনগণের দোড়গোড়ায় কেন চিকিৎসা সেবা পৌঁছাল না?”
পরিস্থিতি সামলাতে প্রতি বিভাগে ফিল্ড হাসপাতাল করার পরামর্শ
দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য।
“এই সঙ্কটের মধ্যে যে স্বাস্থ্যকর্মী আছে, সেটা ইনসাফিশিয়েন্ট।
অথচ অনেক অ্যানেশথিয়ালোজিস্ট ডিপ্লোমা পাস করে বসে আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনেকে
বসে আছে, তাদের কাজ কী বসে থাকা? অথচ আমাদের রোগীরা মারা যাচ্ছে।”
“যদি
চিকিৎসাব্যবস্থায় লোকসংখ্যা কম হয়, তাহলে লোক
আরও নিক। লোকের কি অভাব আছে?” বলেন তিনি।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেনও
ব্যবস্থাপনায় গলদ দেখার কথা জানিয়েছেন। তার মতে, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে যেভাবে সংক্রমণ
বাড়ছে, সঠিক ব্যবস্থাপনায় তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মৃত্যুও বাড়বে।
তিনি বলেন, “হাসপাতালের বাইরে যারা মৃদু
লক্ষণযুক্ত আছেন, তাদের যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আনা না যায়, এমনকি টেলিমেডিসিনের
আওতায় যদি আনা না যায়, তাহলে মৃত্যু বাড়বে। কারণ কখন তাদের অবস্থা সিরিয়াস হচ্ছে, সেটা
তারা বুঝতে পারছে না।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগেরে সামনে কোভিড পরীক্ষার জন্য মানুষের অপেক্ষা। ফাইল ছবি: সুমন বাবু
আর এটা যে শুধু চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়, সেটাও
মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ডা. মুশতাক বলেন, “তারা জীবিকার প্রয়োজনে
বাইরে বের হচ্ছে। তারা যেন আইসোলেটেড থাকে, সেজন্য সরকারি ও সামাজিক উদ্যোগ থাকতে
হবে।
“প্রত্যেকটা কোভিড রোগীকে, যারা হাসপাতালে
যাচ্ছেন না, তাদের মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্টের আওতায়
আনলে একদিকে সংক্রমণ কমবে এবং মৃত্যুঝুঁকিটা কমে যাবে। এটা কিন্তু করা হচ্ছে না।”
“রোগীরা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসে,
তখন আসলে কিছু করার থাকে না। আর হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে যদি রোগী বেশি হয়, সেক্ষেত্রে
টানাটানি তো হবেই,” বলেন তিনি।
ডেল্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী যাত্রার শেষ কোথায়?
কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক তানভীর ইসলাম বলেন, বাড়তে থাকা রোগীর
তুলনায় দেশে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে
কোভিড রোগীর তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও অপ্রতুল। আইসিইউ বেড ও ক্রিটিকাল
কেয়ারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও সঙ্কট রয়েছে।
ডা. মুশতাক বলেন, “গত বছরের চেয়ে আমাদের
সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তারপরও যদি হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়, একটি এলাকায় শত শত
মানুষ সংক্রমিত হয় এবং তাদের অবস্থা যদি খারাপ হয়, সেটা সামাল দেওয়া খুব কঠিন। সেজন্য
হাসপাতালসহ সব জায়গায় ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে।”
শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা। ফাইল ছবি: সুমন বাবু
হাসপাতালে কীভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধী ব্যবস্থা
রাখা যায় এবং ব্যবস্থাপনাটা কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোর পরামর্শ
দেন তিনি।
“হাসপাতালে এমন রোগী যেন না থাকেন, যাদের
অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর বেশি। সামান্য অসুস্থতা নিয়ে যেন কেউ বেড দখল করে না রাখে।
হাসপাতালের ভেতরের ব্যবস্থাপনাটা আরও বেশি ডায়নামিক করা দরকার।”
ডা. মুশতাকের পরামর্শ, হাসপাতালগুলোর
সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চিকিৎসকদের বিশ্রাম দিতে হবে। চিকিৎসকের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকও বাড়াতে হবে।