নতুন এই টিকা উদ্ভাবন করেছে চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্স। সংক্ষেপে একে আইএমবি ক্যাম্পস বলা হচ্ছে।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেহে টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি বুধবার দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি।
দেশে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনার কাজ করছে আইসিডিডিআর,বি।
বুধবার আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডা. ফেরদৌসী কাদরীকে চীনের এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সাময়িক অনুমোদন দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইসিডিডিআর,বি এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রটোকল জমা দিয়েছিল। সে অনুযায়ী তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“আমাদের ন্যাশনাল ইথিকস কমিটি তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করেছে। টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য তাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হযেছে।”
টিকা তৈরির কয়েক ধাপ পেরিয়ে তার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ার জন্য পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখা হয়। সেই পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলেই সেই টিকা অনুমোদন পায়।
কিন্তু শেষ অবধি সরকারের চূড়ান্ত সায় না পাওয়ায় তা আর হয়নি। ফলে বাংলাদেশ স্বল্প ব্যয়ে টিকা পাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে বলেও আলোচনা রয়েছে।
গত ১৬ জুন বিএমআরসি জানিয়েছিল, বাংলাদেশের বঙ্গভ্যাক্স এবং চীন ও ভারতের আরও দুটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি দেওয়ার আগে গ্লোব বায়োটেককে কিছু শর্ত দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিএমআরসি।
বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- এ প্রশ্নে ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্লোব বায়োটেককেও এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
“আমরা যে জিনিসগুলো যেভাবে চাচ্ছি উনাদের তা জানানো হয়েছে।”
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ধাপ পেরিয়ে স্বীকৃতি পাওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, রাশিয়ার টিকা স্পুৎনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা এবং জনসনের টিকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম ও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রয়োগও হচ্ছে।