ভারতের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এই খরচ বেড়ে ৪৫ হাজার কোটি রুপি পর্যন্ত হতে পারে।
গত এপ্রিলে শুরু হওয়া ভারতের নতুন অর্থবছরের বাজেটে টিকার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার কোটি রুপি।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ জুন থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে সরকারি খরচে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে ৪৫ বছরের নিচে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকা দিতে প্রত্যেক রাজ্যকে এই খরচ বহন করার কথা বলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ভারতীয় একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে উৎপাদিত টিকার খরচ আগের চেয়ে বাড়ার কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলেননি।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে একটি ইমেইল করা হলেও তার কোনো জবাব দেয়নি ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়।
এখন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি বাণিজ্যিকভাবে রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি টিকা দেওয়া শুরু হবে।
গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে গণটিকাদান শুরুর পর থেকে দেশটিতে টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক ৯৫ কোটি মানুষের মাত্র পাঁচ শতাংশ।
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সংক্রমণে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে যাওয়া ভারতে কোভিড- ১৯ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিয়ে টিকা নীতিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।