পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ, কী পরিমাণ টিকা আসবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মোমেন বলেন, “ভালো সংবাদ হচ্ছে আমেরিকা ভ্যাকসিন দেবে আমাদেরকে। সঠিক পরিমাণ এখনও জানি না।”
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার তোড়জোড় শুরু করলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি অতিরিক্ত ডোজ থেকে কিছু টিকা পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।
চলমান কূটনৈতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের তৎপরতায় এই কাজে সফল হওয়ার খবর রোববার দিলেন মোমেন।
তিনি বলেন, “আমরা কোভিডের মধ্যে সাকসেস হওয়ার পরে আরেক ঝামেলা! লোক বেশ কম মরছে বলে তারা আমাদের পাত্তা দেয় না। আমরা বেশ কষ্ট করে পাত্তায় আসছি।”
সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানালেও ‘খুব শিগগির’ ওই টিকা পাওয়ার আশা প্রকাশ করে মোমেন বলেন, “আশা করতেছি খুব শিগগিরই, আমাদের তারা ভ্যাকসিন দেবে। কোভ্যাক্স থেকেও পাব।”
তিনি বলেন, “আমাদের তো দরকার অনেক। অন্য দেশের মতো না যে, ২০ হাজার, এক লাখ হলে হয়ে যাবে।
“আমার ১৬৫ মিলিয়ন লোক, আমার অনেক লাগে। ১৩০ মিলিয়নকে দিলেও ২৬০ মিলিয়ন লাগবে। এটা বিশাল বাজার।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসা সরঞ্জামের একটি চালান সোমবার বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।