কোভিড-১৯: এক দিনে ১৮৬৫ রোগী শনাক্ত, তিন মাসের সর্বোচ্চ

দেশে গত এক দিনে আরও ১ হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2021, 09:33 AM
Updated : 17 March 2021, 10:11 AM

দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গতবছরের ১৫ ডিসেম্বর এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ১ হাজার ৮৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও এক হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বেড়ে ৮ হাজার ৬০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৫১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪০ তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ২১৯টি ল্যাবে ২৪ হাজার ২৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ২৬৯টি নমুনা।

এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮৫৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১২টি।

শনাক্তের হার গত দুদিন ধরে কিছুটা কমছে। আগের দুই দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ এবং ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশের পর গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ আর নারী ৩ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৮ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

 

মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৫৭১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৫০৯ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৯৯ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৮০৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ১৩০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৭২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম ছিল।

তাদের ৪ হাজার ৮৩২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৮৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৮৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬৭ জন খুলনা বিভাগের, ২৬৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।