করোনাভাইরাস: এক দিনে ১৭ মৃত্যু, পাঁচ সপ্তাহে সবচেয়ে কম

করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2020, 09:32 AM
Updated : 22 Dec 2020, 11:03 AM

সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝে ২০ নভেম্বরও ১৭ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৭ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হল।

২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৩১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২৩৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।
 
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ৭৪ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ ৩ হাজার।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬১টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১৪৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৪ টি নমুনা।
 
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯ টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫ টি।
 
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৫৮৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৪৩ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৮০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৭০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৬১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৬৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৬৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১৮ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩২৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।