শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ২ হাজার ২৫২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে
মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬
হাজার ৭৭২ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫৭২ জন
রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯০ হাজার
৯৫১ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ
পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়,
যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই
৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে
আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৫২ লাখ পেরিয়েছে;
মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ৭ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি ল্যাবে ১৫
হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪১১টি
নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ
পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক
৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের
সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৫১
থেকে ৬০, ৪১ থেকে ৫০ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে
ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ২ জন করে মোট
৪ জন চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে ৫ হাজার ১৮৪ জনই পুরুষ
এবং ১ হাজার ৫৮৮ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৬১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৫৪
জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৪৯ জনের বয়স
৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে
২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৫৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৭১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,
৪১০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৯৯ জন খুলনা বিভাগের, ২২২ জন বরিশাল বিভাগের, ২৬৭ জন সিলেট
বিভাগের, ৩০৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৪২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।