এর আগে এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ১০ সেপ্টেম্বর। সেদিন ১ হাজার ৮৯২ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত নতুন ১ হাজার ৮৪২ জনকে নিয়ে দেশে মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার জন ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
আর ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৮৯১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১২ লাখ ২৫ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি ল্যাবে ১৫ হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৪ হাজার ৯০২ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী ৩ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ২১ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৫ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৮৬ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৩ হাজার ১৪৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৫৮৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৪৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৮৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৭৩ জন খুলনা বিভাগের, ২০১ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫০ জন সিলেট বিভাগের, ২৬৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।