করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৩২ মৃত্যু

বাংলাদেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে নতুন করোনাভাইরাস; শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬১১ জন রোগী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 08:38 AM
Updated : 8 August 2020, 09:33 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০টি।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ হাজার ৬১১ জন রোগীকে নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় ফ্রান্স, ইতালিকে ছাড়িয়ে বিশ্বে এখন পাকিস্তানের পরই পঞ্চদশ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে দেশে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জনে।

২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুতে দেশে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৬৫ জনে।

করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।

 

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ২৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। ৩১ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

এর মধ্যে ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

মৃতদের ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩ হাজার ৩৬৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ এবং ৭১০ জন নারী।

তাদের মধ্যে এক হাজার ৫৮১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৯৬৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪৬৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২১৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৩ জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ১০ বছরের মধ্যে।

মোট মৃতদের এক হাজার ৬১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৭৯৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২০৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ২৫২ জন খুলনা বিভাগের, ১৩২ জন বরিশাল বিভাগের, ১৫৮ জন সিলেট বিভাগের, ১৩২ জন রংপুর বিভাগের এবং ৭১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৯ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারাদেশে ৮৪টি ল্যাবে ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

 

পুরনো খবর