প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই ব্রিফিংয়ের অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের সরবরাহ করেছে।
বৈঠকে সারা দেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কোনো এলাকায় যদি অধিক সংক্রমণ থাকে সেই ক্ষেত্রে ওই এলাকাকে যদি স্পেশালি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন কালকেই (গতকাল), সেটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ওয়েতেই করে নিতে পারবেন।”
জোনিং করে ‘লকডাউনের’ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, “এটা কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি, মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) মহোদয়ের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। এটি কেবিনেটের বিষয় নয়, আমাদের যে সংক্রামক ব্যাধি আইন আছে সেই আইনের মধ্যে এটা দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অথোরাইজড।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। আমরা যেটা আইটি ব্যবহার করে যেভাবে জোনিং করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে এটা সারা পৃথিবীতে করা হচ্ছে। এটাতে সুবিধা আছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ মিনিস্ট্রি তারা বসেই যদি মনে করে কোনো জায়গাটাকে… রেড জোন ডিক্লেয়ার করা সবার জন্যই ভালো, কারণ সবাই তখন সতর্ক হতে পারবে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দুই মাসের লকডাউন শেষে সব খুলে দেওয়ার পর ফের ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে গত ১ জুন নতুন পরিকল্পনার কথা জানায় সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় সারা দেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী সারা দেশকে রেড, গ্রিন ও ইয়োলো জোনে ভাগ করা হবে।”