রোববার থেকেই ওই দুই এলাকা ‘অবরুদ্ধ’ করা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দুটি এলাকায় দুই-এক দিনের মধ্যে লকডাউন হলে হতে পারে। মূল সিদ্ধান্তটা আসে ডিজি হেলথ থেকে। তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন থাকে। আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “কোনো এলাকা লকডাউন করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ লাগে। বাস্তবায়নের আগে উপরের লেভেলের অনুমতি লাগে। সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও হতে পারে।”
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ ইমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা টেলিভিশনে খবর দেখেছি কাল থেকে ওই এলাকায় লকডাউন। কিন্তু আমরা এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাইনি। সিদ্ধান্ত পেলে আমরা লকডাউনে চলে যাব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আমাদের কাউন্সিলরদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আছে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় সারা দেশে লকডাউন জারি রাখার পর ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সরকার।
তবে দেশে প্রতিদিন যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে সব অফিস খোলার পাশাপাশি যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকা ধরে ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত ১ জুন ওই সিদ্ধান্ত জানানোর পর শুক্রবার কক্সবাজার পৌর এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ফের অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়।