কোভিড-১৯: সরকারি চাকুরেদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা এতে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 03:54 PM
Updated : 23 April 2020, 04:23 PM

আক্রান্ত হলে পদমর্যাদা ভেদে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে ক্ষতিপূরণের এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ এ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারী দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিপত্রে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বলা হয়, বেতন স্কেল অনুযায়ী ১৫-২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন ৫ লাখ টাকা, আর মারা গেলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর মারা গেলে পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রথম-নবম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা।

ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীসহ মাঠ প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে করোনাভাইরাস পজিটিভের প্রমাণপত্র বা মেডিকেল রিপোর্টসহ স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে।

আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে নির্দিষ্ট ফরমে মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের দাবি সংবলিত আবেদন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবেন।

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে।

এ ক্ষতিপূরণ বর্তমান প্রচলিত অন্য যে কোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশে বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে।