ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা: চট্টগ্রাম বিএনপি

ভোটের আগের দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বিপুলসংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী অবস্থান নিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2015, 12:06 PM
Updated : 27 April 2015, 12:06 PM

সোমবার নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চিটাগাং ক্লাব, সিনিয়র ক্লাব, পেনিনসুলা, ওয়েল পার্ক, সল্টগোলা এলাকায় বিজিএমইএর রেস্ট হাউজ, পাঠানটুলী এলাকায় থ্রিস্টার, কর্ণফুলী, দোস ও রক্সি হোটেলে অবস্থান নিয়েছে।”

এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মেহেদীবাগে তার বাসায় সংবাদ সম্মেলনে মনজুরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমানও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, “আরও একদিন আগে (শনিবার) রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের চট্টগ্রাম ত্যাগ করার কথা। কিন্তু মন্ত্রী, এমপি, সরকারি দলের লোকজন, সন্ত্রাসী নেতা এবং সন্ত্রাসী সবাই নগরীতে অবস্থান করছে। কেউ চট্টগ্রাম ত্যাগ করেনি।

“দুই দিন ধরে চট্টগ্রামে হাজার হাজার সন্ত্রাসী প্রবেশ করছে। ফেনীসহ আশোপাশের জেলা থেকে সন্ত্রাসীরা এসেছে; আরও পথে আছে। মঙ্গলবার সকালে আরও কয়েক হাজার সন্ত্রাসী প্রবেশ করবে। চট্টগ্রাম বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

“এসব বহিরাগত সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং এজেন্টদের এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে।”

ফেনীর এক সন্ত্রাসী নেতার নেতৃত্বে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার সন্ত্রাসী এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

“নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব থেকে সন্ত্রাসীদের নগরীতে অবস্থানে সহায়তা করছে।”

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে জানিয়ে খসরু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের চোখের সামনে সব ঘটছে। তারা নিরব নির্লিপ্ত। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এসব কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে।”

ভোটকেন্দ্রের আশপাশে বিএনপির লোকজন দেখলেই গণধোলাই দেওয়া হবে- ছাত্রলীগ এমন হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেন, “আমি মনজুরের নির্বাচনী দায়িত্বে আছি। আমিই যদি কেন্দ্রে যেতে না পারি তাহলে এজেন্ট যাবে কীভাবে?”

পুলিশের সহায়তায় দলীয় নেতা ও এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নোমান বলেন, “পুলিশ সাদা পোশাকে নেতাকর্মী ও এজেন্টদের বাসায় গিয়ে বলছে তারা যেন ২৮ এপ্রিলের আগে এলাকায় না আসে।”

বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবস্থানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির দুই নেতা।