সাঈদ খোকনের ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার পেছনে রেখে ভোট চাইলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন, যা নির্বাচনী বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

সুলাইমান নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2015, 03:13 PM
Updated : 13 April 2015, 03:13 PM

সোমবার সবুজবাগ থানার মাদারটেকে আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের সমর্থনে সভা হয়।

সভামঞ্চে অতিথিদের বসায় জায়গার পেছনে ব্যানার দেখা যায়। ওই ব্যানারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ছিল।

নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা আছে, কোনো প্রার্থী নিজ ছবি বা প্রতীকের বাইরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি ব্যবহার করা যাবে না।

নির্দলীয় স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি ব্যবহার হলে তা আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে বলে ঢাকা দক্ষিণের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তকা মো. রশিদ মিয়া জানিয়েছেন।

তবে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে এ নিয়ে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিটার্নিং অফিসার আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।”

ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকনের নামে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিভিন্ন বিলবোর্ড হয়েছিল, তাতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছিল। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নিজেই ওই বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলেন প্রার্থী খোকন।  

সাঈদ খোকনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের নির্বাচনী সভায় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নামে স্লোগান দিয়ে ভোট চাওয়া হয়।

এ নিয়ে অভিযোগ করে ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছেন, সিটি নির্বাচনে সব প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগের ক্ষেত্র এখনও তৈরি করতে পারেনি ইসি।   

সবুজবাগের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে সাঈদ খোকন উন্নয়নের জন্য ভোট চাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করেন।

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। আমি যদি এলাকার উন্নয়নে কোনো কাজের কথা নিয়ে তার কাছে যাই, তিনি ফেলতে পারবেন না।

“আপনারা দেখেছেন আপনাদের প্রিয় মেয়র হানিফের নামে ফ্লাইওভার হয়েছে। খিলগাঁওয়েও আপনাদের নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী একটি ফ্লাইওভার করেছেন।”

স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন এই সভায় সাঈদ খোকনের পক্ষে ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখেন।

সাঈদ খোকন বলেন, তিনি মেয়র হলে সিটি করপোরেশনে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার কাজটি গতিশীল করবেন।   

“মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সিটি করপোরেশন। একটি শিশু জন্মগ্রহণ করলে একটি জন্মসনদ লাগে, কেউ মৃত্যুবরণ করলে মৃত্যুসনদ লাগে। চাকরির জন্য চারিত্রিক সনদ লাগে। এই সবই দেয় সিটি কর্পোরেশন।”

“সিটি কর্পোরেশনের এ সব সেবা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। নির্বাচিত হলে আমি এ সেবাগুলোর পুনরুজ্জীবন করব।”