মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগপন্থী ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুব্ধ শিক্ষক পরিষদের’ ব্যানারে শিক্ষকরা প্রথমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তারা তালাবদ্ধ উপাচার্য ভবনের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভরত সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, “উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। বিকালে সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্যকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।”
দুটি প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করা হলেও শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ ও প্রশাসন পরিচালনায় ‘অযোগ্যতার’ পাশাপাশি নিয়োগে ‘অনিয়ম’ ও আর্থিক ‘অস্বচ্ছতার’ অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে গত ১৩ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন ৩৫ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অধ্যাপক জাফর ইকবালও ছিলেন।
তবে আমিনুল হক ভূইয়া ২৩ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে দুমাসের ছুটিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসের অধীনে সেই ৩৫ জন কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।
আগের দিন সোমবার ছুটি শেষ হওয়ার আগে হঠাৎ নিজের কার্যালয়ে ফিরে উপাচার্য নতুন প্রক্টরিয়াল কমিটির অনুমোদন দিলে প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
তবে মঙ্গলবার আর ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য।