শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনেই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় বসেছেন সারা দেশের ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী।
সকাল ৯টায় দেশের ২ হাজার ৫২৫টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র ও জেডিসির কোরআন মজিদ ও তাজবীদ বিষয়ের পরীক্ষা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এবার জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ১১ লাখ পাঁচ হাজার ৫০৯ জন ছাত্রী এবং নয় লাখ ৮৫ হাজার ১৮৩ জন ছাত্র।
এ বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে সৃজনশীল প্রশ্নে। বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ এসএসসির মত দুটি অংশে আলাদা আলাদা পাসের প্রয়োজন নেই।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।
আগের সূচি অনুযায়ী এ বছর ২ থেকে ১৮ নভেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী তিন জামায়াত নেতার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে দলটি তিন দফায় পাঁচদিন হরতাল ডাকলে পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। হরতালের কারণে ২১ লাখ পরীক্ষার্থী এবং তাদের শিক্ষক-অভিভাবকদেরও উৎকণ্ঠায় পড়তে হয়।
গত বছরও জেএসসি-জেডিসির কয়েকটি পরীক্ষা বিএনপি-জামায়াতের হরতালের কারণে পিছিয়ে যায়।