জবানবন্দি দিলো ভিকারুননিসার সেই ছাত্রী

ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর এবার হাকিমকে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার দশম শ্রেণীর সেই ছাত্রী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2011, 09:00 AM
Updated : 17 July 2011, 09:00 AM
ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর এবার হাকিমকে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার দশম শ্রেণীর সেই ছাত্রী।
রোববার দুপুরে মহানগর হাকিম শামীমা পারভীন তার খাসকামরায় ওই ছাত্রীর জবানবন্দি নেন।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মজিবুর রহমান ওই ছাত্রীর জবানবন্দির বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় তাকে জবানবন্দি দিতে খাসকামরায় নিয়ে যান পুলিশের একই বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক নার্গিস বেগম।
এই দুই পুলিশ কমকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী হাকিমের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ জবানবন্দি দেয়।
এর আগে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফজতে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই গত ১১ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক পরিমল। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৮ মে আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার পাশে 'এফ' ব্লকে ৬ নম্বর রোডের ৩৫৯ নম্বর বাসায় একতলা ভবনের একটি কক্ষে ওই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে হাত বেঁধে, মুখে ওড়না গুঁজে ধর্ষণ করেন পরিমল।
সে সময় পরিমল তার মোবাইল ফোনে মেয়েটির ছবি তুলে রাখে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, 'ঘটনার পর ছাত্রীটির হাতের বাঁধন খুলে কাউকে এ বিষয়ে কিছু বললে ইন্টারনেটে নির্যাতনের ছবি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় পরিমল। পরে ১৭ জুন পরিমলের কাছে পড়তে গেলে আবারো তিনি ছাত্রীটিকে নির্যাতন করেন। সেদিন ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে পরিমল তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
২৮ জুন পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বসুন্ধরা শাখা প্রধান লুৎফর রহমানের কাছে একটি আবেদন জমা দেয় ওই শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা। লুৎফর তাদের জানান, ঘটনাটি অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টিই অধ্যক্ষ 'ডিল' করছেন।
এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় ৭ জুলাই ভোররাতে কেরানিগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পরিমলকে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম ক্ষিতিশ জয়ধর।
পরিমল গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এএল/জেকে/২০৫৫ ঘ.