শুক্রবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।”
বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কারণ বলা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা জানাচ্ছেন, রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের লোকজনই মারধর করেছে। তাই আপাতত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত রোববার ওয়ারীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে কৌশিক সরকার সাম্য নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে মারধর করে। সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় কৌশিকসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম।
কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার ফেইসবুক ওয়ালে আখতারের সঙ্গে ছবি ছাড়াও নিয়মিত ছাত্রলীগকেন্দ্রিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায়।
এদিকে কর্মীদের দিয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাঁদাবাজি করার ঘটনাও সামনে আসছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইব্রাহিম ও আখতারকে সভাপতি-সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকা এলাকায় তারা বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিসিটিভির ফুটেজ তো সবার কাছেই আছে।”
চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও ইব্রাহিম ও আখতার তা ধরেননি।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রেমঘটিত’ কারণে মারামারির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তিন বছর বাদে গত ১ জানুয়ারি ইব্রাহিম ফরাজী ও আখতার হোসেনের নেতৃত্বে নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্ৰীয় ছাত্রলীগ।