শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আকস্মিক বন্যার কারণে তারা আটকা পড়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের ‘পানসী’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
“তাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসনসহ সকল মহলকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।”
গত ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে যান। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়। পরে শহরের ‘পানসী’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন।
সেখানে বিদ্যুৎ, খাবার, সুপেয় পানিসহ নানা সংকট রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফোন করে তারা জানিয়েছেন।
প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ছেলে-মেয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা ভালো আছে। তাদেরকে বলেছি, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
“ডিসি মহোদয় ও এসপি মহোদয় দুজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ এবং দ্রুত উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওরা যে রেস্টুরেন্টে আটকা পড়েছে, সেখানে নিচতলায় পানি উঠে গেছে। তাদের জন্য যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেজন্য আমি লোকাল প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
“র্যাবের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। আইএসপিআরের ডিরেক্টরে সঙ্গেও কথা বলেছি। উনার মাধ্যমে সেখানে সেনাবাহিনীর যে টিম অপারেশন আছে, তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।”
ভারতের মেঘালয়-আসামে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলতি মওসুমের তৃতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট অঞ্চলে।
সুনামগঞ্জের শহরে এখন একতলা কোনো বাড়িতে পানি উঠতে বাকি নেই। সদরের পাশাপাশি দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা ভাসছে বন্যায়।
পানি ঢুকেছে সিলেট শহরেও। জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে।
এ অবস্থায় বন্যাদুর্গত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সেনা সদস্যদের মাঠে নামানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষকে উদ্ধার করা এবং নিরাপদে নিয়ে আনা। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী উদ্ধার উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।”