শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর এই পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ওপর।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সোয়া ১১টার দিকে কার্জন হল কেন্দ্র পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্র করেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সেকশন অফিসার (রিপোর্টিং) শুভাশীষ রঞ্জন সরকার বেশ কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিককে খামে করে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে সাংবাদিকরা সেই টাকা গ্রহণ করেননি। এ প্রস্তাবে সাংবাদিকদের কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শুভাশীষ রঞ্জন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি যখন ওখানে গিয়েছিলাম, তখন ডিন অফিস থেকে একজন স্যার আমাকে বলল আপনি তো পিআর থেকে এসেছেন। সাংবাদিকদের তো আমরা কোনো চা-নাস্তা করাতে পারিনি। একটা অনারিয়াম ছিল, এগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হত।
“তখন আমি যখন কয়েকজনকে দিতে গেলাম, কেউ তা নেননি। পরে আমি সেগুলো ফেরত দিয়ে দিয়েছি।“
ডিন অফিস থেকে ১০টি খাম বিতরণ করতে দেওয়া হয়েছিল, তবে সেখানে কত টাকা ছিল তা খুলে দেখেননি বলে জানান শুভাশীষ রঞ্জন সরকার। তবে কোন শিক্ষক এ টাকা বিতরণ করতে দিয়েছিলেন, তার নাম তিনি বলেননি।
জানতে চাইলে ফার্মেসি অনুষদের ডিন ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সাধারণত অনারিয়াম রাখি না। বিষয়টি কী হয়েছিল, তা আমরা খতিয়ে দেখব।”
আর উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “সাধারণত আমাদের কেউ এ ধরনের কাজ করে না।
“যেসব বিষয় অপ্রাসঙ্গিক এবং যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের সঙ্গে যায় না; সেগুলো কেউ না করি, সেটা আমাদের কাম্য।”