চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে জবি কর্মচারীদের অবস্থান

চাকরিতে স্থায়ী করার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2022, 01:45 PM
Updated : 7 June 2022, 02:10 PM

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সামনে এবং পরে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন এমএলএসএস (পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পিওন, নিরাপত্তাকর্মী) দৈনিক ৬০০ টাকা, অফিস সহকারী ৭০০ টাকা এবং কম্পিউটার অপারেটর ৮২০ টাকা করে ভাতা পান।

বিভিন্ন ছুটি বাদ দিয়ে তারা মাসে গড়ে অফিস করেন ১৫ থেকে ২০ দিন। সে হিসাবে তারা মাসিক ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পান ।

কর্মসূচিতে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই আয়ে আমাদের সংসার চলে কেমনে? আমাদের দাবি হচ্ছে সবার চাকরি স্থায়ী করা হোক। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হয় বছর বছর, আমাদের নিয়োগ হয় না।”

নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ২৪ জন নিরাপত্তা কর্মীকে ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাস, ১৬ তলা ছাত্রীহল এবং পুরনো ক্যাম্পাস নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ২৪ জনে কেমনে সামলাই? আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দিই, কিন্তু আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই। আমাদের কিছু হলে আমরা কিছুই পাই না।”

বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীর সংখ্যা ২৭০ জনের মত। এর মধ্যে দৈনিক ভাতায় কাজ করা নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ১০ জন।

উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক কম্পিউটার অপারেটর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি আমাদের দাবি-দাওয়া শুনলেন। আমরা অ্যাডহক চেয়েছিলাম; উনি বললেন- অ্যাডহক দেওয়া যাবে না, উপর থেকে নিষেধ করে দিছে।

“স্থায়ীকরণ তো প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমাদের অনেকের ১০-১২ বছর হয়ে গেছে, দুই-একটা করে পোস্ট আছে। কিন্তু এতে তো আমরা সন্তুষ্ট না। এজন্য বলছি আমাদের সবাইকে অ্যাডহক দেন। পরে আস্তে আস্তে এখান থেকে পার্মানেন্ট দেন।”

তাদের দাবি শুনে উপাচার্য ‘আশ্বস্ত করেছেন’ বলে জানান এ কর্মচারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমরা ইউজিসির সাথে কথা বলে তাদেরকে রেগুলার করার চেষ্টা করব।”