সোমবার নতুন প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের জন্য ভূমির পরিমাণ নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ সংক্রান্ত কাঠামো করার সিদ্ধান্ত হয়।
ভূমি বরাদ্দে জমির পরিমাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরন, শিক্ষার্থী সংখ্যা, ক্যাম্পাসের ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয় পরিমাপক হিসেবে কাজ করবে বলে সভায় জানানো হয়।
ইউজিসি সদস্য, সংশ্লিষ্ট কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “সরকার দেশের সব জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ভূমির পরিমাণ যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা দরকার।”
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস স্থাপনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন সংকট তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে দেশে ৫২টি পাবলিক বিশ্ববদ্যালয় রয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও যুগের চাহিদার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশ্ববদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে জমির পরিমাণ নির্দিষ্ট করা গেলে আবাদী জমি ও জলাশয় রক্ষা করা যাবে এবং জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে না।”
অপ্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতে এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে এই ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রয়োজনীয় ভূমির পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
সভায় কমিটির সদস্যরা দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এবং নতুন পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয় স্থাপনে ইউজিসি’র মতামত গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন।
মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক মো. আবু তাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন।