কয়েকশ শিক্ষার্থী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রাখায় আজিমপুর-মিরপুর সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
তিনি বলেন, “আগামী ২৯ মার্চ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ বসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক সরকারি বাংলা কলেজের ২০১৯-২০সেশনের শিক্ষার্থী সাগর নেওয়াজ বলেন, এর আগে গত ১৬ মার্চ যখন তারা আন্দোলনে নেমেছিলেন, তখনও কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিল।
শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হল-
>> কোভিড সংক্রমণের কারণে ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০ সেশনের সকল বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
>> দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মান বণ্টন পরিবর্তন করতে হবে।
>> গণহারে ফেল করার কারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, “আমাদের ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়, কিন্তু মূল নম্বরের সঙ্গে এটা যোগ করা হয় না। দর্শন বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী আছে, তাদের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করতে হবে এবং সাত কলেজে যেভাবে গণহারে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটার সুষ্ঠু ও স্থায়ী পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
“গত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে সিজিপিএ শিথিল করা হয়েছে। এবার করোনাভাইরাস মহামারী বিবেচনা করে শেষবারের মতো প্রয়োজনে লিখিত নিয়ে মানবিক বিবেচনায় ভুক্তভোগী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ভুক্তভোগীদের পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে, এখানেই আমাদের শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হবে।”