বুধবার বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চারপাশের সড়কে যানজট তৈরি হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাদের সেখানে থেকে সরিয়ে দিলে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক সাইফ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, “সাত কলেজের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি বলা হলেও ২৩ হাজার ২৬২ আসনে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। মোট আসনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকা, তারপরও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে; যেটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।
“এতে শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসন চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন, যেটা কিনা শিক্ষার্থীদের জন্য হতাশাজনক। সাত কলেজের ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এ অবস্থার দ্রুত অবসান চায়। আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সাত কলেজের ফাঁকা আসন পূরণে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে।”
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি কমিটির সভায় এসব ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “৬ মার্চের পর এসব ফাঁকা আসনে ভর্তি নেওয়া হবে। তার আগে যারা ভর্তি হয়েছে, তারা ৪ থেকে ৬ মার্চ মাইগ্রেশনের আবেদন করতে পারবে। তবে এটা অটোমেটিক মাইগ্রেশন হবে না। সরাসরি এসে মাইগ্রেশনের আবেদন করতে হবে। মাইগ্রেশনের পর অবশিষ্ট আসনে মেধাতালিকা অনুযায়ী নতুন শিক্ষার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে।”