চিঠি চালাচালিতে আটকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের কাজ

ঢাকার নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার কার্যক্রম গত ৩০ বছরে ধরে চিঠি চালাচালির মধ্যে আটকে আছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2022, 12:51 PM
Updated : 23 Jan 2022, 12:51 PM

রোবাবর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া লিখিত বক্তব্যে থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তার প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেদখল রয়েছে এবং তা উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব জমিতে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দ বাজার সংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে।”

শিক্ষামন্ত্রী তার জবাবে এসব জমি উদ্ধারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটাও তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রকট স্থান সঙ্কুলানের’ অভাব বিবেচনা করে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি খালি করে জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া ২৯.৫৭ শতাংশ জমি থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নিতে একই বছর ৩ জুন তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোনো প্রকার ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের ২৯ মে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ওই জায়গায় ছয় তলা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজি (এস্টেট) শেয়েব রিয়াজ আলমকে অনুরোধ জানানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে।

পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে থাকা জমির উদ্ধার কার্যক্রম সস্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ার পর পরমাণু শক্তি কমিশনের জমি ও ভবনাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ওই বছরের ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে চিঠি দেন।

এরপরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভবন হস্তান্তরের অনুরোধ করে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ অতীতের সব কার্যক্রম উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।