পদাবনমনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে শবনম জাহানের করা রিট মামলার রয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। সেদিন সকালে ভোট শুরুর আগেই কুয়েত-মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়, যেগুলোতে ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা ছিল।
ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডাকসু নির্বাচনের সকালে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে উদ্ধার করা ভোটের চিহ্ন দেওয়া ব্যালট পেপার নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান
ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট৷ পরে ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
এক বছরের বেশি সময় পর ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছর এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি দেওয়া হয়।
গত বছর ২১ জুলাই সিন্ডিকেট সভার এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন শবনম জাহান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেয়।
শবনম জাহানের পদাবনতি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাকে পদন্নোতি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
শবনম জাহানের আইনজীবী সালাহ উদ্দীন দোলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট।
“এর ফলে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শবনম জাহান যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সেসব সুযোগ-সুবিধা তিনি পাবেন।”
সেই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তিনি যদি পদন্নোতি প্রাপ্য হয়ে থাকেন, তাও আদালত তাকে দিতে বলেছে বলে জানান এই আইনজীবী।