মেধাবীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি বাড়বে, আশা স্পিকারের

প্রাক্তনীদের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2021, 02:09 PM
Updated : 1 Dec 2021, 02:09 PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বুধবার পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশার কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সহযোগিতার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন তার ছাত্রজীবনের কথা।

“ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা, পরমতসহিষ্ণুতা এবং সংবেদনশীলতা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন থেকে আহরিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা শিখেছি আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াতে।“

স্পিকার বলেন, “আমি গর্বিত, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ বিদ্যাপীঠ অনন্তকাল ছাত্র রাজনীতির গৌরব ও ঐতিহ্যকে অনন্য মাইল ফলক রূপে ধারণ করে এগিয়ে যাবে।“

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে গত ১ জুলাই। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ ক্যাম্পাসে সেদিন সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হয়।

কয়েক দফা পিছিয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয় উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনুষ্ঠানে।

স্পিকার বলেন, “আমি গর্বিত, আমি আইন অনুষদের ছাত্রী। যে বিভাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এক সময় ছাত্র ছিলেন।”

শতবর্ষের গৌরবজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধ্বজা উড্ডীয়মান রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আধুনিক জ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশেষায়িত জ্ঞানের অগ্রদূত রূপে মানসম্মত যুগপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা সুসংহত করার মধ্য দিয়ে জাতি গঠনে অবদান রেখে যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আগামী দিনের নেতৃত্ব এই বিদ্যাপীঠ থেকেই তৈরি হবে, সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে তারা অবদান রাখবে, সেই প্রত্যাশার কথা বলেন শিরীন শারমিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা যেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কখনো পিছপা না হই। আমরা যেন বুকে সত্যকে ধারণ করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সৎ সাহস সবসময় ব্যক্ত করি। আমাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হোক মানবতার জয় গান।”

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা পাঠান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, যিনি ময়মনসিংহ মেডিকেলে লেখাপড়া করেছেন, এমবিবিএস সনদ পেয়েছেন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই।

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল, ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ বক্তব্য দেন।