কেমব্রিজ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

প্রথম বাংলাদেশি দল হিসেবে বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ বিতর্ক প্রতিযোগিতা কেমব্রিজ ইন্টারভার্সিটি (আইভি) চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তার্কিক দল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 06:16 PM
Updated : 18 Nov 2021, 06:16 PM

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, এ বছর বিশ্বের ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কেমব্রিজ ইউনিয়ন আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, যাদের মধ্যে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স, কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল।

১৪ নভেম্বর প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে শিরোপা এনে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লায়েড ইকোনমিক্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজিদ আসবাত খন্দকার ও সৌরদীপ পাল।

চূড়ান্ত বিতর্কে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি এবং ফিলিপিন্সের এটেনিও ডি ম্যানিলা ইউনিভার্সিটি।

ফাইনালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিতার্কিক দল 'ট্রান্সহিউম্যানিজম' এর বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। ট্রান্সহিউম্যানিজম হল নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতার প্রাকৃতিক সীমা অতিক্রম করার জন্য মানব শরীরের পরিবর্তন ঘটানোর মতবাদ।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে এ প্রতিযোগিতায় চারটি দল দুই ভাগে সরকারি ও বিরোধী দল হিসেবে প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বিতর্কে অংশ নেয়।

এই প্রতিযোগিতায় ইংলিশ অ্যাজ এ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ (ইএসএল) বিভাগে সেরা এবং সার্বিকভাবে চতুর্থ সেরা বিতার্কিক হয়েছেন সাজিদ। আর সৌরদীপ ইএসএল বিভাগে দ্বিতীয় সেরা এবং সার্বিকভাবে অষ্টম সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৭ সাল থেকে একসঙ্গে মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন সাজিদ ও সৌরদীপ।

কেমব্রিজ আইভি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাজিদ আসবাত বলেন, “আমার খুবই অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে। কারণ এর আগে কখনো এমনটি ঘটেনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, এটা কেবল ভবিষ্যতের অনেক যুগান্তকারী অর্জনের সূচনামাত্র।”

আর সৌরদীপ পাল বলেন, “বিতর্কের দক্ষতা এবং জ্ঞান আমাকে চিন্তাশীল হতে সহায়তা করেছে এবং মঞ্চে গিয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।”