শুক্রবার বেলা ১১ থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সাত বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
'গ’ ইউনিটে ১২৫০ আসনের বিপরীতে ২৭ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭ হাজার ১৩৭ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮১৯ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৫৫৯ জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯৫ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৬০৬ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৬ জন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৭০ জন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩৬২ জন পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা শুরুর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের মান ও পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ২৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ১৭ হাজার পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে। বাকি ১০ হাজার পরীক্ষার্থী ঢাকার বাইরে সাতটি ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়েছে।
“আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছে, ক্যাম্পাস এখন তাদের পদচারণায় মুখরিত। এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছে, এটা একটি আশাব্যঞ্জক দিক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে কিনা - এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা যে শুধু করোনাকে বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার বাইরে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছি এমন কিন্তু না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের নানাবিধ ভোগান্তি, শ্রম, অর্থ অপচয় লাঘব করা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীও পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।