ঢাবির সুফিয়া কামাল হলে আগুন ‘ইস্ত্রি থেকে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে বন্ধ একটি কক্ষে জ্বলছিল ইস্ত্রি, আর তা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2021, 03:34 PM
Updated : 19 Oct 2021, 06:01 PM

মঙ্গলবার রাতে আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিস একথা জানিয়ে বলেছে, আগুন ওই একটি কক্ষেই লেগেছিল। তা ছড়ানোর আগেই নিভিয়ে ফেলা হয়।

আগুনে ওই কক্ষের শিক্ষার্থীর কিছু সরঞ্জাম পুড়লেও কেউ হতাহত হয়নি।

কবি সুফিয়া কামাল হল। ফাইল ছবি

মঙ্গলবার সোয়া ৯টার দিকে ছাত্রীদের এই হলের প্রদীপ্ত ব্লকের ৮০৬ নম্বর কক্ষে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

আশেপাশের কক্ষেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম বানু।
তিনি বলেন, “ওই কক্ষ থেকে আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আমরা ছাত্রীদের দ্রুত ওই ব্লক থেকে সরিয়ে ফেলি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে অল্প সময়ের মধ্যে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।”

হলে আগুন লাগার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী সেখানে ছুটে যান।
আগুন নেভানোর পর হল পরিদর্শন শেষে প্রক্টর গোলাম রব্বানী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “একটি কক্ষেই আগুন সীমাবদ্ধ ছিল। এখন আর ভয় নেই। শিক্ষার্থীরা যার যার কক্ষে ফিরে গেছে।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, কোনো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস খালি কক্ষে কানেক্টেড ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।”

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “ইস্ত্রি মেশিনে বৈদ্যুতিক শক সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে।

“তবে আগুন একটি কক্ষেই সীমাবদ্ধ ছিল। চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।”

সবুর হোসেন নামে একজন ফায়ার ফাইটার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি থেকে আগুন লেগেছিল। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু একটা তোষক আর কিছু বই পুড়েছে। এছাড়া আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই কক্ষে একজন ছাত্রী রাতে অবস্থান করেছিলেন। তবে তার বাবার হার্ট অ্যাটাকের খবরে সকালে তিনি কক্ষ থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান। 

ওই শিক্ষার্থীই ইস্ত্রি চালু রেখে কক্ষ ছেড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।