আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) বিংশতম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রোববার তার এ মন্তব্য আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সমাবর্তনে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা ও সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারীদের চ্যান্সেলার স্বর্ণ পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা দেওয়া হয়।
মহামারীর মধ্যে যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন, তাদের অভিননন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত দেড় বছর ধরে আমরা একটা মহামারীর মধ্যে রয়েছি। সারা বিশ্বের মানুষ নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিকূলতায় রয়েছে শিক্ষাখাত।”
শিক্ষার্থীদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “উদ্যোক্তা হতে হবে এবং প্রগতিশীল অর্থনীতিকে চালু রাখার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। নতুন চাকরির বাজার সৃষ্টি করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করার তাগিদ দিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন, “কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করে নিত্য নতুন দক্ষতা অর্জন করে দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উচ্চতর মানবসম্পদ গড়তে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন অর্থনীতি, নারী শিক্ষা ও উন্নয়ন এবং শিক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি সহযোগিতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদের মধ্যে এআইইউবির উপাচার্য ড. কারমেন জেড ল্যামাগনা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. হাসানুল আবেদীন হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।