ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১৭ অক্টোবর থেকে

হল খোলার পর ১৬ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরুর প্রস্তাব রেখেছিল প্রাধ্যক্ষ কমিটি; তবে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2021, 12:51 PM
Updated : 7 Oct 2021, 01:26 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস্ কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৬ তারিখে সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়েছিল আগে, ওইদিন শনিবার হওয়ায় ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে।”

এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেড় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শ্রেণিকক্ষে ফিরবে।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীর অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ তদারকি জোরদার করার জন্য সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

“শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত ‘লস রিকোভারি প্ল্যান’ অনুসৃত হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস সশরীরে নিতে হবে।”

সশরীরে ক্লাসের পাশাপাশি কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চাইলে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনেও নিতে পারবে।

অধ্যাপক সামাদ বলেন, “আমরা চাইব ১০০ ভাগ ক্লাসই সশরীরে হোক, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে হবে।

“যেসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, তাদের সেকশন করে ক্লাস নিতে হবে। অর্থাৎ একদিন জোড় রোল, অন্যদিন বিজোড় রোলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে। আর এটা বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের প্রধানরা নির্ধারণ করবেন।”

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোও খালি করে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রথম ধাপে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে হলে উঠানো শুরু হয়।

১০ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।