মাঠ রক্ষায় মাঠে নামল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2021, 11:18 AM
Updated : 3 Oct 2021, 11:18 AM

পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠটি শুরু থেকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাড়ে সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন মার্কেট তৈরির কাজ শুরু করেছে।

সিটি করপোরেশন মাঠটিকে নিজেদের সম্পত্তি দাবি করলেও কলেজ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই মাঠটি জগন্নাথ কলেজের নামে গত শতকের ৮০’র দশকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

রোববার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে মিছিল নিয়ে ধূপখোলার খেলার মাঠে যাওয়ার সময় লক্ষ্মীবাজারে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান রাজু।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বাধা মানিনি, না মেনেই চলে যাই। আমাদের যে খেলার মাঠটা ছিল আমরা এই মাঠটা ফিরে পেতে চাই। আমাদের দাবি, এই মাঠে যে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হচ্ছে; এটা যেনো না হয়।”

আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি পরে ঘোষণা করা হবে জানান বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের এই মিডফিল্ডার।

এদিকে মাঠ রক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জাহিন।

মাঠে সিটি কর্পোরেশনের তৎপরতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন ছাত্রজোটের নেতারা।

জাহিন বলেন, “এখন দ্রুত আদালতের শরণাপন্ন হওয় জরুরি। আমরা প্রত্যাশা করবো, আজকের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী একটি উদ্যোগ নেবে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও সংগঠনের প্রতি মাঠ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সোমবার ধূপখোলা মাঠে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকেও মাঠ রক্ষার জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চিঠি পাঠানো হয়।

শতবর্ষী জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর আইন অনুযায়ী নিরীক্ষার পর বিলুপ্ত কলেজের যে সম্পত্তির তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়, তার অধিকাংশই ছিল বেদখলে।

ক্যাম্পাসের সীমানার বাইরে কেবল ধূপখোলার খেলার মাঠটিকেই নিজেদের কর্তৃত্বে পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আলমগীর সিকদার লোটন জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মাঠটি ব্যবহার করছে।