সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক নেতারা।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ২০১৮ সাল থেকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন ধাপের পদোন্নতি বন্ধ ছিল, যা আবার শুরু হয় ২০২০ সালে।
তবে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয়ে প্রক্রিয়াটি থেমে যায়। পরে গত মে মাসে এই প্রক্রিয়া আবার শুরু হলে সহযোগী অধ্যাপক পদে জুনে পদোন্নতি হয়।
শিক্ষা ক্যাডারে এভাবে আগে কখনও পদোন্নতি হয়নি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই পদোন্নতিরই অংশবিশেষ প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে এখনও পদোন্নতি হয়নি। এ বিষয়ে ‘দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে’।
উন্মুক্ত মঞ্চের সমন্বয়ক ড. কাজী জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণত অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক পদে একসাথে পদোন্নতি হয়। এটা নজিরবিহীন যে এবার এখনও অনেকের পদোন্নতি ঝুলে আছে।
“শিক্ষা ক্যাডারে একটা জট তৈরি হয়েছে। ফলে ২-৩ বছরে যারা প্রমোশন পাওয়ার কথা তারা ১০/১২ বছরেও পায় না।”
পদোন্নতির ‘জটের’ কারণে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, “শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা, গুণগত শিক্ষা এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য ক্যাডার কর্মকর্তাগণের পদোন্নতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“একই ব্যাচের অন্যান্য ক্যাডারে যখন নিয়মিত পদোন্নতি হচ্ছে, এমনকি সুপার নিউমারারি প্রক্রিয়ায় পদোন্নতি হচ্ছে; অথচ শিক্ষা ক্যাডারে হচ্ছে না, এটা গভীর দুঃখের, আর্থিক ক্ষতির এবং মর্যাদাহানির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
দ্রুত পদোন্নতি না হলে প্রভাষকদের ‘কর্মস্পৃহায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’ বলেও স্মারকলিপিতে তুলে ধরেছে সংগঠনটি।