রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
করোনাভাইরাস মহামারীতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এ সভায়।
কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে সেই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। সেই আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল।
“এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে হয়ত বৈঠক করব। সেখানে (বৈঠক) অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন…।
“যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিকভাবে হয়ে থাকে, তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করব।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোবাবর সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪৩০ জন।
দৈনিক শনাক্তের হার এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা জুলাই মাসে ৩০ শতাংশে উঠেছিল।
অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গত বছরের মার্চ থেকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়া বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাইকে টিকার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলে আসছিল সরকার।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখনও টিকা পায়নি, সে বিষয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া যখন শুরু হয়, তার মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
যাদের বয়স ১২ বছর হয়েছে, তাদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী আগে বলেছেন ১৮ বছরের অধিক যারা তাদের সবাইকে দিয়ে দিই। সেই কার্যক্রম চলছে। ১২ বছরের অধিক, যারা তাদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসি, সেটির ব্যপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে।”
এখন যেসব টিকা আছে তার কোনোটাই ১২ বছরের কম বয়সীদের দেওয়া যায় না। কেবল ফাইজার ও মডার্নার টিকা ১২ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া যায়। অন্যসব টিকা দিতে হয় ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যে টিকাগুলো (১২ বছরের বেশি বয়সীদের) দেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আসা…। কিছু নিয়ে আসা হয়েছে, আরও নিয়ে আসা হবে। সেগুলো প্রয়োগের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। সে প্রস্তুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিচ্ছে। আমরা সহসাই সেই কার্যক্রম শুরু করব। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ১২ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা পর্যায়ক্রমে অবশ্যই দেব।”
তবে এসব টিকার সংরক্ষণ প্রক্রিয়া যে জটিল, সে বিষয়টি উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “এখানে টেকনিক্যালি কিছু সীমাবদ্ধ আছে, সব জায়গায় দেওয়া যাবে না, আমরা পর্যায়ক্রমে দেব।”