শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোয় বাম ছাত্রনেতাদের ক্ষোভ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা না করে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের তারিখ পেছানোয় ক্ষোভ জানিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2021, 04:00 PM
Updated : 12 June 2021, 04:00 PM

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ প্রগতিশীল ছাত্র জোট আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তারা দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

সমাবেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপর বাজেটে ১৫ শতাংশ কর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত ও টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া মহামারীকালে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার দাবিও জানান ছাত্রনেতারা।

সরকারের আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা ছিল।

শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়।

এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, "আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুধু নোটিশ বোর্ডে সীমাবদ্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের ন্যূনতম কোনো মাথাব্যাথা নেই। শিক্ষা খাতকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

“ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে নাকি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হবে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।"

'সরকার আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না' উল্লেখ করে তিনি বলেন," রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলবে। যার ভয়ে সরকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না।“

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি (মাক্সবাদী) মাসুদ রানা বলেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইল-ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।

“মেয়েদেরকে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে। অথচ সরকার দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সাথে তামাশা করে যাচ্ছে।"

সমাবেশ শেষে ছাত্রজোটের একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমার সঞ্চালনায় সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরি জয়, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বক্তব্য দেন।