কলিমুল্লাহ ‘বিষোদগার’ করেছেন, তদন্ত প্রভাবমুক্ত: ইউজিসি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘প্রভাব বিস্তারের’ যে অভিযোগ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ করেছেন, তা নাকচ করেছে কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2021, 05:07 PM
Updated : 6 March 2021, 05:07 PM

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন ও প্রভাবমুক্তভাবে’ অধ্যাপক কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ১০ তলা ভবন এবং একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজে উপাচার্যের ‘অনিয়মের প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানায় ইউজিসি। এ বিষয়ে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে কমিশনের তদন্ত দল।

এছাড়া অধ্যাপক কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগও তদন্তের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

এর প্রতিক্রিয়ায় গত ৪ মার্চ ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন ‘শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয় ও আশকারায়’ হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

পরে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে ওই অভিযোগকে ‘অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কলিমুল্লাহর সংবাদ সম্মেলনের দুদিন পর শনিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগে বেরোবির বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর সেটি তদন্তে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য, পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকের সমন্বয়ে একটি কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।

“তদন্ত কমিটি পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে। কোনো পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বা অন্য কারো প্রভাব বিস্তার করার কোনো ধরনের সুযোগ নেই।”

অধ্যাপক কলিমুল্লাহ শিক্ষামন্ত্রী ও তদন্ত কমিটি নিয়ে যা বলেছেন, তাকে তার ‘ব্যক্তিগত বিষোদগার‘ হিসেবে বর্ণনা করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। উপাচার্যের মতো দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কোনোভাবেই এটি প্রত্যাশিত নয়।

“শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কখনো কোনো বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি। কোনো উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে, এমন কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা তিনি কখনোই প্রদান করেননি।”