হল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রথম ছাত্রী হল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 02:55 PM
Updated : 20 Oct 2020, 02:55 PM

মঙ্গলবার সকালে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথে লিয়াকত এভিনিউয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এ হলটি। ১৬ তলাবিশিষ্ট হলটিতে ৬২৪ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য।

করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানসূচি সংক্ষিপ্ত করে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মহামারীর পরেই ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবে বলে আলোচনা সভায় জানান উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান।

তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত যে সংকট রয়েছে, নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে সেটিও নিরসন হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কেরানীগঞ্জে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০০ একর ভূমির অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।”

সরাসরি ক্লাসের বিকল্প না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়ে মীজানুর বলেন, “স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রবি মোবাইল অপারেটরের সাথে শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। চুক্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা ৩০ জিবি ডাটা প্যাকেজ স্বল্পমূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ই-মেইল আইডি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান আরও এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, “দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত, নাট্যকলা, চারুকলা এবং ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগ আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে।”

আলোচনা সভায় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন বক্তব্য দেন।

পরে সংগীত বিভাগের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষকদের পরিবহনের জন্য দুটি মাইক্রোবাস এবং পরিবহন পুলের গাড়ি চালক ও হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগার উদ্বোধন করা হয়।

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।