শুক্রবার এক শোকবার্তায় অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। দেশের রাষ্ট্র চিন্তা, সমাজ বাবস্থা, গণতন্ত্র প্রভৃতি বিষয়ে তিনি প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। বয়োজ্যেষ্ঠ এই শিক্ষাবিদ মৃদুভাষী ও সৌজন্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৯২-৯৬ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভেরও (ইউডা) উপাচার্য ছিলেন তিনি।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক উপাচার্যের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া।
সেখানে বলা হয়, “তিনি তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে অনেক কৃতি শিক্ষার্থী তৈরি করে গেছেন, যারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি আমৃত্যু একজন নিষ্ঠাবান গবেষক ও তাত্ত্বিক ছিলেন। তিনি তার গুণী শিক্ষার্থী ও গবেষণা কর্মের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী এক শোকবার্তায় বলেন, “অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এবং আমি দীর্ঘসময় একত্রে শিক্ষকতা এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি। তার মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম শোক প্রকাশ করে বলেন, “রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু তিনি একজন সত্যিকারের অ্যাকাডেমিশিয়ান ছিলেন। ছাত্র-শিক্ষক সবার সাথে শিক্ষকসুলভ আচরণ করেছেন। আমি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।”