এই প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিইউএক্স’, যার মাধ্যমে দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগেও শিক্ষার্থীরা যে কোনো স্থান থেকে সহজে ক্লাসে অংশ নিতে পারবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, “স্প্রিং-২০২০ সেমিস্টারে অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখিন হই। ‘বিইউএক্স’ এর অনলাইন শিক্ষণ পদ্ধতি হবে ভিন্ন ধাঁচের যেখানে শিক্ষকরা জুমের মত ভিডিও কনফারেন্সিং টুলস ব্যবহার করে পাঠদান করাবেন। এখানে আরও অনেক সুবিধা রয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা উন্নত করতে ‘যথাসাধ্য’ চেষ্টা করছেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ইন্টারনেট প্যাকেজ ও ব্রডব্যান্ড সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে দুস্থ শিক্ষার্থীদের হার্ডওয়্যারও তারা দেবেন।
শিক্ষা পদ্ধতির এই রূপান্তর কোর্স আধুনিকায়নের সুযোগ করে দেবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতোমধ্যে সামার সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সব টিউশন ফি মওকুফ করা হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের মহামারীতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয়, সেজন্য ১৫ কোটি টাকার ‘স্টুডেন্ট অ্যাসিসটেন্স ফান্ড’ গঠন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এই তহবিলের আকার সেমিস্টারের মোট টিউশন ফির প্রায় ২৫ শতাংশ।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তাসহ তাদের উন্নতমানের ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে এই তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। এছাড়া চাহিদা ও মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ আগের মতই চালু থাকবে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।