এ দাবিতে রোববার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
মোদীকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে সমাবেশে তারা বলেন, মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আনা হলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে।
মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের খবরের পর সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতকে আমন্ত্রণ না জানালে কৃতঘ্নতার পরিচয় দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জগন্নাথের সমাবেশে শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বলা হচ্ছে মোদীকে আমন্ত্রণ না জানালে ভারতের সাথে অকৃতজ্ঞতা করা হবে৷ আমরা বলি নাই ভারতকে বাদ দিতে। কিন্তু যে মানুষের হাতে মুসলমানদের রক্ত লেগে আছে সে মোদীকে বাদ দিতে হবে৷ মোদীকে যদি এদেশে আনা হয় তাহলে ছাত্রসমাজ এর জবাব দেবে।”
সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, “দিল্লির হামলার প্রতিবাদ না করলে হত্যাযজ্ঞ চলতেই থাকবে। মোদী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। এ রাজনীতির বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সারাবিশ্বে ধর্ম নিয়ে যে দাঙ্গা হচ্ছে তা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এগুলো রাজনৈতিক ইন্ধনে হচ্ছে।
“অসাম্প্রদায়িক বাংলায় যদি মোদীকে আনা হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু ও তার কাজকে অপমান করা হবে। আমরা এর কঠোর প্রতিবাদ করব। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে তাদের আনা হোক, তাহলে প্রতিবাদ নয় সাধুবাদ জানাব।”